মেধসমুনি আশ্রম বোয়ালখালী
মেধসমুনি আশ্রম বোয়ালখালী
মেধসমুনি আশ্রমের অবস্থান বোয়ালখালীর আহল্লা-কড়লডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের কড়লডেঙ্গা পাহাড়ে। বরিশাল জেলার গৈলা গ্রাম নিবাসী বৈদিক ব্রাহ্মণকুলে ১২৬৬ বাংলার ২৫ অগ্রহায়ন তারিখে চন্দ্রশেখর নামে যে শিশুটি জন্মেছিলো, কালান্তরে সে শিশুই মহাযোগী বেদানন্দ নামে আখ্যায়িত হয়ে সনাতনী সমাজের সু-প্রাচীন শক্তিতীর্থ আবিষ্কার করে সমগ্র চট্টগ্রামকে পৃথিবীর বুকে স্বর্ণাসনে বসিয়েছেন। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টলে মেধসাশ্রম আবিষ্কার এক দৈব ঘটনা। স্বামী বেদানন্দ মহাত্মই ১৯০০ খৃষ্ঠাব্দ যোগবলে জ্ঞাত হয়েই এ পূণ্যতীর্থ উদ্ধার করেন। তাঁর সংস্কৃতে রচিত ‘মেধসাশ্রম মাহাত্ম্য’ গ্রন্থে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। মার্কেন্ড পুরান, শ্রীশ্রীচণ্ডী বা দেবীমাহাত্ম্যম্ বা দেবীভাগবত পূরণে উল্লেখ রয়েছে ঋষি মেধসের এই আশ্রমের। মার্কেন্ড পুরান অনুযায়ী দেবী দুর্গামর্তলোকে সর্ব প্রথম এই ঋষি মেধসের আশ্রমে অবতীর্ণ হন। শ্রীশ্রীচণ্ডী গ্রন্থে কথিত রয়েছে, রাজা সুরথ ও বৈশ্য সমাধি মহর্ষি মার্কেন্ডের কাছেই প্রথম দেবীমাহাত্ম্যম্ এর পাঠ নেন এবং এই স্থানে প্রথম দুর্গাপুজো করেন। আশ্রমে চণ্ডী মন্দির, শিব মন্দির, সীতা মন্দির, তারা কালী মন্দিরসহ ১০টি মন্দির রয়েছে। রয়েছে সীতার পুকুর।আশ্রমের প্রধান ফটক দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার গেলে ওপরে ওঠার সিঁড়ি। প্রায় ১৪০টি সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠলে মেধস মুনির মন্দির চোখে পড়বে। এই মন্দিরের পরই দেবী চণ্ডীর মূল মন্দির।
এর একপাশে সীতার পুকুর, পেছনে রয়েছে ঝরনা। মন্দিরের পেছনে সাধু সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে দোতলা ভবন।প্রায় ৬৮ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত হয়েছে এই মন্দিরে প্রতিবছর মহালয়ার মাধ্যমে দেবী পক্ষের সূচনা হয়এই মন্দিরে। আশ্রম গেটের কিছুটা আগে রাস্তার বামে রয়েছে একটি পদ্মপুকুর, সাথে বিশ্রামাগার। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও ফুল রয়েছে। যেমন- শিউলি, হাসনাহেনা, করবী, কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া, সেগুন, কলাগাছসহ প্রভৃতি গাছপালা এখানে দেয়া যায়। প্রায় ৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠার পর মনোমুগ্ধকর সব দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব। সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের মাঝে জুমচাষ, দূরে মেঘাচ্ছন্ন ঝাপসা প্রকৃতির দৃশ্য, ঠাণ্ডা হাওয়া- সব মিলিয়ে ভালো লাগার এক মুহূর্ত এখানে বসে কাটানো যায়। কিভাবে যাওয়া যায়: চট্টগ্রাম বহদ্দরহাট বাস টার্মিনাল হতে বাস যোগে অথবা সিএনজি টেম্পো যোগে সরাসরি উপজেলা পরিষদ হয়ে কানুনগোপাড়া কালাইয়ার হাট এর বাম পাশদিয়ে কিছুদুর পর করলডেঙ্গা পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত মেধসমুনি আশ্রম।
মেধসমুনি আশ্রমের অবস্থান বোয়ালখালীর আহল্লা-কড়লডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের কড়লডেঙ্গা পাহাড়ে। বরিশাল জেলার গৈলা গ্রাম নিবাসী বৈদিক ব্রাহ্মণকুলে ১২৬৬ বাংলার ২৫ অগ্রহায়ন তারিখে চন্দ্রশেখর নামে যে শিশুটি জন্মেছিলো, কালান্তরে সে শিশুই মহাযোগী বেদানন্দ নামে আখ্যায়িত হয়ে সনাতনী সমাজের সু-প্রাচীন শক্তিতীর্থ আবিষ্কার করে সমগ্র চট্টগ্রামকে পৃথিবীর বুকে স্বর্ণাসনে বসিয়েছেন। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টলে মেধসাশ্রম আবিষ্কার এক দৈব ঘটনা। স্বামী বেদানন্দ মহাত্মই ১৯০০ খৃষ্ঠাব্দ যোগবলে জ্ঞাত হয়েই এ পূণ্যতীর্থ উদ্ধার করেন। তাঁর সংস্কৃতে রচিত ‘মেধসাশ্রম মাহাত্ম্য’ গ্রন্থে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। মার্কেন্ড পুরান, শ্রীশ্রীচণ্ডী বা দেবীমাহাত্ম্যম্ বা দেবীভাগবত পূরণে উল্লেখ রয়েছে ঋষি মেধসের এই আশ্রমের। মার্কেন্ড পুরান অনুযায়ী দেবী দুর্গামর্তলোকে সর্ব প্রথম এই ঋষি মেধসের আশ্রমে অবতীর্ণ হন। শ্রীশ্রীচণ্ডী গ্রন্থে কথিত রয়েছে, রাজা সুরথ ও বৈশ্য সমাধি মহর্ষি মার্কেন্ডের কাছেই প্রথম দেবীমাহাত্ম্যম্ এর পাঠ নেন এবং এই স্থানে প্রথম দুর্গাপুজো করেন। আশ্রমে চণ্ডী মন্দির, শিব মন্দির, সীতা মন্দির, তারা কালী মন্দিরসহ ১০টি মন্দির রয়েছে। রয়েছে সীতার পুকুর।আশ্রমের প্রধান ফটক দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার গেলে ওপরে ওঠার সিঁড়ি। প্রায় ১৪০টি সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠলে মেধস মুনির মন্দির চোখে পড়বে। এই মন্দিরের পরই দেবী চণ্ডীর মূল মন্দির।
এর একপাশে সীতার পুকুর, পেছনে রয়েছে ঝরনা। মন্দিরের পেছনে সাধু সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে দোতলা ভবন।প্রায় ৬৮ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত হয়েছে এই মন্দিরে প্রতিবছর মহালয়ার মাধ্যমে দেবী পক্ষের সূচনা হয়এই মন্দিরে। আশ্রম গেটের কিছুটা আগে রাস্তার বামে রয়েছে একটি পদ্মপুকুর, সাথে বিশ্রামাগার। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও ফুল রয়েছে। যেমন- শিউলি, হাসনাহেনা, করবী, কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া, সেগুন, কলাগাছসহ প্রভৃতি গাছপালা এখানে দেয়া যায়। প্রায় ৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠার পর মনোমুগ্ধকর সব দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব। সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের মাঝে জুমচাষ, দূরে মেঘাচ্ছন্ন ঝাপসা প্রকৃতির দৃশ্য, ঠাণ্ডা হাওয়া- সব মিলিয়ে ভালো লাগার এক মুহূর্ত এখানে বসে কাটানো যায়। কিভাবে যাওয়া যায়: চট্টগ্রাম বহদ্দরহাট বাস টার্মিনাল হতে বাস যোগে অথবা সিএনজি টেম্পো যোগে সরাসরি উপজেলা পরিষদ হয়ে কানুনগোপাড়া কালাইয়ার হাট এর বাম পাশদিয়ে কিছুদুর পর করলডেঙ্গা পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত মেধসমুনি আশ্রম।
No comments
Thanks