লস্কর উজির দিঘী রাউজান
লস্কর উজির দিঘী রাউজান
ঐতিহাসিক লস্কর উজির দিঘী রাউজান উপজেলার ৮নং কদলপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। কথিত আছে ব্রিটিশ শাসনেরও আগে লস্কর নামে এক উজির এই দিঘীটি খনন করেছিলেন। এর দৈর্ঘ্য এক বর্গকিলোমিটার। লোকমুখে প্রচলিত আছে প্রাচীনকালে এই দিঘী থেকে অলৌকিকভাবে পাওয়া যেতো বিয়ে শাদির জন্য ব্যবহৃত সকল প্রকার হাড়িপাতিলসহ খানাপিনার সব উপকরণ। সেই সময়কালে কোনো বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠান হলে সন্ধ্যায় দিঘীর পাড়ে চাহিদাপত্র দিয়ে পত্র লিখে রেখে আসলে পরদিন সকালে দিঘীতে অলৌকিকভাবে ঐসব জিনিসপত্র নিয়ে নৌকা ভাসতো। এলাকার সমাজপতিরা দিঘীতে ভাসমান মানববিহীন নৌকা থেকে সবকিছু বুঝে নিয়ে অনুষ্ঠান শেষে আবারও সেই নৌকায় দিয়ে আসতো। কোনো এক সময় জিনিসপত্র নিয়ে পানির তলদেশে অদৃশ্য হতো সেই নৌকা। এই দিঘী নিয়ে রূপকথার কাহিনীতে রয়েছে স্থানীয় এক লোভী গৃহবধুর বিরুদ্ধে অপবাদ। ঐ গৃহবধু নাকি বিয়ের আয়োজনে আনা দিঘীর জিনিসপত্রের মধ্যে একটি লবণের বাটি চুরি করে রেখে দিয়েছিল। এই ঘটনার পর ঐসব জিনিসপত্র ফেরত অপূর্ণতায় পরবর্তীতে আর এই দিঘী থেকে কোনো জিনিসের যোগান পাওয়া যায়নি। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত লোভী গৃহবধুর পরিবার ও বংশ এরপর ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা জড়িয়ে আছে এই দিঘীটি ঘিরে। দিঘীর দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় রয়েছে হযরত মিয়া শাহ নামের এক বুজুর্গ ব্যক্তির মাজার। দিঘীর পাড়ে স্থাপিত হয়েছে একটি মসজিদ ও কবরস্থান। এ দিঘীতে বছরে অধিকাংশ সময় অতিথি পাখি অবস্থান করে এবং সারা বছরই দেশী পাখি দেখা যায়। এভাবে লস্কর উজির দিঘী পাখপাখালির মিলনমেলায় পরিণত হয়।
কিভাবে যাওয়া যায়: কাপ্তাই-চট্টগ্রাম রোডের পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে সি.এন.জি যোগে ৩ কি.মি (ভাড়া-১০/-) উত্তরে এবং চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের জলিলনগর থেকে ৮ কি.মি (ভাড়া-২৫/-) দক্ষিণে ঐতিহাসিক লস্কর উজির দিঘী অবস্থিত।
ঐতিহাসিক লস্কর উজির দিঘী রাউজান উপজেলার ৮নং কদলপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। কথিত আছে ব্রিটিশ শাসনেরও আগে লস্কর নামে এক উজির এই দিঘীটি খনন করেছিলেন। এর দৈর্ঘ্য এক বর্গকিলোমিটার। লোকমুখে প্রচলিত আছে প্রাচীনকালে এই দিঘী থেকে অলৌকিকভাবে পাওয়া যেতো বিয়ে শাদির জন্য ব্যবহৃত সকল প্রকার হাড়িপাতিলসহ খানাপিনার সব উপকরণ। সেই সময়কালে কোনো বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠান হলে সন্ধ্যায় দিঘীর পাড়ে চাহিদাপত্র দিয়ে পত্র লিখে রেখে আসলে পরদিন সকালে দিঘীতে অলৌকিকভাবে ঐসব জিনিসপত্র নিয়ে নৌকা ভাসতো। এলাকার সমাজপতিরা দিঘীতে ভাসমান মানববিহীন নৌকা থেকে সবকিছু বুঝে নিয়ে অনুষ্ঠান শেষে আবারও সেই নৌকায় দিয়ে আসতো। কোনো এক সময় জিনিসপত্র নিয়ে পানির তলদেশে অদৃশ্য হতো সেই নৌকা। এই দিঘী নিয়ে রূপকথার কাহিনীতে রয়েছে স্থানীয় এক লোভী গৃহবধুর বিরুদ্ধে অপবাদ। ঐ গৃহবধু নাকি বিয়ের আয়োজনে আনা দিঘীর জিনিসপত্রের মধ্যে একটি লবণের বাটি চুরি করে রেখে দিয়েছিল। এই ঘটনার পর ঐসব জিনিসপত্র ফেরত অপূর্ণতায় পরবর্তীতে আর এই দিঘী থেকে কোনো জিনিসের যোগান পাওয়া যায়নি। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত লোভী গৃহবধুর পরিবার ও বংশ এরপর ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা জড়িয়ে আছে এই দিঘীটি ঘিরে। দিঘীর দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় রয়েছে হযরত মিয়া শাহ নামের এক বুজুর্গ ব্যক্তির মাজার। দিঘীর পাড়ে স্থাপিত হয়েছে একটি মসজিদ ও কবরস্থান। এ দিঘীতে বছরে অধিকাংশ সময় অতিথি পাখি অবস্থান করে এবং সারা বছরই দেশী পাখি দেখা যায়। এভাবে লস্কর উজির দিঘী পাখপাখালির মিলনমেলায় পরিণত হয়।
কিভাবে যাওয়া যায়: কাপ্তাই-চট্টগ্রাম রোডের পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে সি.এন.জি যোগে ৩ কি.মি (ভাড়া-১০/-) উত্তরে এবং চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের জলিলনগর থেকে ৮ কি.মি (ভাড়া-২৫/-) দক্ষিণে ঐতিহাসিক লস্কর উজির দিঘী অবস্থিত।
No comments
Thanks