হযরত শাহ বু-আলী কালন্দর (র:) এর মাজার বোয়ালখালী
হযরত শাহ বু-আলী কালন্দর (র:) এর মাজার বোয়ালখালী
বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যম করলডেঙ্গা গ্রামে হযরত শাহ বু-আলী কালন্দর (র:) এর মাজার অবস্থিত। শেখ শরফুদ্দিন বু আলী কালন্দর পানিপতি (১২০৯-১৩২৪ খ্রিস্টাব্দ) চিশতিয়া তরিকার একজন সূফি সাধক যিনি ভারতে বাস করতেন। পানিপথের শহরে তার দরগাহ (মাজার) অবস্থিত যা একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান। তাঁর আসল নাম ছিল শেখ শরফুদ্দিন কিন্তু তিনি বু আলী শাহ নামেই অধিক পরিচিত। তাঁর পিতার নাম শেখ ফখর উদ্দিন, যিনি তাঁর সময়ে মহান পণ্ডিত এবং দরবেশ ছিলেন। তিনি খুব অল্প বয়সে তার পড়াশোনা শেষ করেন এবং পরবর্তীকালে প্রায় বিশ বছর দিল্লির কুতুব মিনারের নিকটে পড়াশোনা শেখেন। দিওয়ানে হযরত শরফুদ্দিন বু আলী কালান্দার নামে তিনি ফার্সি কবিতার একটি সংকলন প্রকাশিত করেন যা পরবর্তকালে খাজা শাহাউদ্দিন কর্তৃক পাঞ্জাবী ভাষায় অনূদিত হয়।এই মহান সাধকের অনেক উপাখ্যান লোক মুখে প্রচলিত রয়েছে। একটি উপখ্যান এমন রয়েছে যে, প্রায় ৩৬ বছর কার্নাল নদীর পানিতে দাড়িঁয়ে থেকে সাধনা করার ফল স্বরূপ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁকে বু আলী (আলীর সুবাস) উপাধি দান করেন। এই মর্যাদাপ্রাপ্ত হওয়ার পর অনেক মহান সুফি সাধক তাঁর সাক্ষাত লাভ করার জন্য আসেন। অন্য আরেকটি উপাখ্যানে উল্লেখ আছে, একদিন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর বেশারতে (স্বপ্ন) আসেন এবং তাকে একটি ইচ্ছা পূরণের আশ্বাস দেন। কালান্দর নবুওয়াতের আবেদন করলেন এবং তাঁকে বলা হল নবুওয়তের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) হচ্ছেন শেষ নবী। তারপর তিনি আলী হতে চাইলেন এবং বলা হল ঐ মর্যাদাটিও আগেই পূর্ণ হয়েছে। এরপর তিনি আলীর অন্তত সুবাস পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন এবং তাঁর এই ইচ্ছা পূর্ণ করা হল। ১৯০০ সাল থেকে ৫ই ফাল্গুন হযরত শাহ-বু-আলী কলন্দর শাহ(র:) এর ওরশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসতেছে। ওরশ এর দিন র্সূয ডুবার সময় মহিষ জবাই করলে মাজারের চারপাশে জীবন্ত গাছের আগা দিয়ে ধোয়া দেখা যায় । লাখ লাখ ভক্ত ওরশ শরীফে আসেন।
কিভাবে যাওয়া যায়: চট্টগ্রাম শহর থেকে বহদ্দার হাট বাস র্টামিনাল এসে কানুনগোপাড়া বাস অথবা টেম্পু যোগে মধ্যম করলডেঙ্গা মাজার গেইট হয়ে মাজারে যাওয়া যায় ।
বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যম করলডেঙ্গা গ্রামে হযরত শাহ বু-আলী কালন্দর (র:) এর মাজার অবস্থিত। শেখ শরফুদ্দিন বু আলী কালন্দর পানিপতি (১২০৯-১৩২৪ খ্রিস্টাব্দ) চিশতিয়া তরিকার একজন সূফি সাধক যিনি ভারতে বাস করতেন। পানিপথের শহরে তার দরগাহ (মাজার) অবস্থিত যা একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান। তাঁর আসল নাম ছিল শেখ শরফুদ্দিন কিন্তু তিনি বু আলী শাহ নামেই অধিক পরিচিত। তাঁর পিতার নাম শেখ ফখর উদ্দিন, যিনি তাঁর সময়ে মহান পণ্ডিত এবং দরবেশ ছিলেন। তিনি খুব অল্প বয়সে তার পড়াশোনা শেষ করেন এবং পরবর্তীকালে প্রায় বিশ বছর দিল্লির কুতুব মিনারের নিকটে পড়াশোনা শেখেন। দিওয়ানে হযরত শরফুদ্দিন বু আলী কালান্দার নামে তিনি ফার্সি কবিতার একটি সংকলন প্রকাশিত করেন যা পরবর্তকালে খাজা শাহাউদ্দিন কর্তৃক পাঞ্জাবী ভাষায় অনূদিত হয়।এই মহান সাধকের অনেক উপাখ্যান লোক মুখে প্রচলিত রয়েছে। একটি উপখ্যান এমন রয়েছে যে, প্রায় ৩৬ বছর কার্নাল নদীর পানিতে দাড়িঁয়ে থেকে সাধনা করার ফল স্বরূপ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁকে বু আলী (আলীর সুবাস) উপাধি দান করেন। এই মর্যাদাপ্রাপ্ত হওয়ার পর অনেক মহান সুফি সাধক তাঁর সাক্ষাত লাভ করার জন্য আসেন। অন্য আরেকটি উপাখ্যানে উল্লেখ আছে, একদিন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর বেশারতে (স্বপ্ন) আসেন এবং তাকে একটি ইচ্ছা পূরণের আশ্বাস দেন। কালান্দর নবুওয়াতের আবেদন করলেন এবং তাঁকে বলা হল নবুওয়তের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) হচ্ছেন শেষ নবী। তারপর তিনি আলী হতে চাইলেন এবং বলা হল ঐ মর্যাদাটিও আগেই পূর্ণ হয়েছে। এরপর তিনি আলীর অন্তত সুবাস পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন এবং তাঁর এই ইচ্ছা পূর্ণ করা হল। ১৯০০ সাল থেকে ৫ই ফাল্গুন হযরত শাহ-বু-আলী কলন্দর শাহ(র:) এর ওরশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসতেছে। ওরশ এর দিন র্সূয ডুবার সময় মহিষ জবাই করলে মাজারের চারপাশে জীবন্ত গাছের আগা দিয়ে ধোয়া দেখা যায় । লাখ লাখ ভক্ত ওরশ শরীফে আসেন।
কিভাবে যাওয়া যায়: চট্টগ্রাম শহর থেকে বহদ্দার হাট বাস র্টামিনাল এসে কানুনগোপাড়া বাস অথবা টেম্পু যোগে মধ্যম করলডেঙ্গা মাজার গেইট হয়ে মাজারে যাওয়া যায় ।
No comments
Thanks