হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মাজার ও দিঘি চাঁদপুর
হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মাজার ও দিঘি চাঁদপুর
হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মাজার ও দিঘি ইরাকের বাগদাদ থেকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্যে হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর সাথে যে ১২ জন আউলিয়া বাংলাদেশে আসেন, তাদের মধ্যে হযরত রাস্তি শাহ (রঃ) অন্যতম। তিনি ১২৩৮ সালে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ)-এর আত্মীয় ছিলেন। তিনি ১৩৫১ সালে এদেশে আসেন। লখনৌ-এর মুসলিম রাজ্যের সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের (১৩০১-১৩২২ খ্রিঃ) আমলে রাস্তি শাহ (রঃ) কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্যে এসে মেহার শ্রীপুরে
স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর অলৌকিক গুণ ও আধ্যাত্মিকতা দেখে তৎকালীন ত্রিপুরার মানুষজন তাঁর মুরিদ ও ভক্ত হতে শুরু করে। হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর নাম অনুসারেই ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ ‘শাহরাস্তি’ উপজেলা গঠিত হয়। সাধক পুরুষ হযরত রাস্তি শাহ (রঃ) ১৩৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। শাহরাস্তি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে তাঁর মাজার অবস্থিত। মাজারের কাছে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট প্রাচীন একটি মসজিদ আছে। জনশ্রুতি আছে, হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মৃত্যুর সাড়ে তিন বছর পর সুবেদার শায়েস্তা খানের মেয়ে পরী বিবির আদেশে কাজী গোলাম
রসূল এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। তাঁর মাজার রক্ষার জন্যে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বার্ষিক দুশ’ দশ টাকা হারে অনুদান দিতো। মাজারের উত্তর দিকে ৩০ একর জমির উপর বিশাল একটি দিঘি রয়েছে। এই দিঘিটি হযরত রাস্তি শাহ (রঃ) জ্বীনের মাধ্যমে খনন করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মাজারে বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। এ ওরশে দেশের বিভিনড়ব প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মাজার জেয়ারত করার জন্যে উপস্থিত হন।
কিভাবে যাওয়া যায়: চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস অথবা সিএনজি করে শাহরাস্তি গেইটে নেমে সিএনজি দিয়ে উপজেলা পরিষদ।শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ হতে রিক্সা অথবা সিএনজি করে শাহরাস্তি বাজার যেতে হবে। শাহরাস্তি বাজার এর উত্তর মাথায় শাহরাস্তি(রঃ) এর নামে স্থাপিত শাহরাস্তি মসজিদ ও মাদ্রাসা।
হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মাজার ও দিঘি ইরাকের বাগদাদ থেকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্যে হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর সাথে যে ১২ জন আউলিয়া বাংলাদেশে আসেন, তাদের মধ্যে হযরত রাস্তি শাহ (রঃ) অন্যতম। তিনি ১২৩৮ সালে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ)-এর আত্মীয় ছিলেন। তিনি ১৩৫১ সালে এদেশে আসেন। লখনৌ-এর মুসলিম রাজ্যের সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের (১৩০১-১৩২২ খ্রিঃ) আমলে রাস্তি শাহ (রঃ) কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্যে এসে মেহার শ্রীপুরে
স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর অলৌকিক গুণ ও আধ্যাত্মিকতা দেখে তৎকালীন ত্রিপুরার মানুষজন তাঁর মুরিদ ও ভক্ত হতে শুরু করে। হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর নাম অনুসারেই ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ ‘শাহরাস্তি’ উপজেলা গঠিত হয়। সাধক পুরুষ হযরত রাস্তি শাহ (রঃ) ১৩৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। শাহরাস্তি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে তাঁর মাজার অবস্থিত। মাজারের কাছে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট প্রাচীন একটি মসজিদ আছে। জনশ্রুতি আছে, হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মৃত্যুর সাড়ে তিন বছর পর সুবেদার শায়েস্তা খানের মেয়ে পরী বিবির আদেশে কাজী গোলাম
রসূল এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। তাঁর মাজার রক্ষার জন্যে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বার্ষিক দুশ’ দশ টাকা হারে অনুদান দিতো। মাজারের উত্তর দিকে ৩০ একর জমির উপর বিশাল একটি দিঘি রয়েছে। এই দিঘিটি হযরত রাস্তি শাহ (রঃ) জ্বীনের মাধ্যমে খনন করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মাজারে বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। এ ওরশে দেশের বিভিনড়ব প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মাজার জেয়ারত করার জন্যে উপস্থিত হন।
কিভাবে যাওয়া যায়: চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস অথবা সিএনজি করে শাহরাস্তি গেইটে নেমে সিএনজি দিয়ে উপজেলা পরিষদ।শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ হতে রিক্সা অথবা সিএনজি করে শাহরাস্তি বাজার যেতে হবে। শাহরাস্তি বাজার এর উত্তর মাথায় শাহরাস্তি(রঃ) এর নামে স্থাপিত শাহরাস্তি মসজিদ ও মাদ্রাসা।
প্রদর্শিত ছবিটি হযরত শাহরাস্তি(রঃ)-এর মাজার ও দিঘির নয়। ছবিটি হযরত শাহরাস্তি (রঃ)-বাজার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর ছবি। আশাকরি ঠিক করে নিবেন।
ReplyDelete